নারী শ্রমিক করেছে ধর্ষণ মামলা;অভিযুক্তরা বলছে এটা টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল


মাসুদ পারভেজ :
অনেকেই ধর্ষণের শিকার হয়ে অভিযোগ করছে বিচার পাওয়ার আশায় আবার কেউ কেউ করছে টাকা হাতিয়ে নেয়ার আশায়।যেটাকে অনেকেই বলে থাকে টাকা কামানোর কৌশল।কিছু ধর্ষণের ঘটনায় অনেক রহস্য লুকিয়ে থাকে।তেমনি একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কালিয়াকৈর উপজেলায়।যে ঘটনা নিয়ে মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক নারী শ্রমিক পরে আবার কালিয়াকৈর থানায় করেছেন মামলা।এই ঘটনার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশ।যে নিউজ প্রকাশ হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন ওই মামলার অভিযুক্ত আসামিরা।তারা বলছেন এটি একটি চক্রান্ত ও উদ্যেশ্যপ্রণোদিত,যা শুধুমাত্র একটি কুচক্রী মহলের স্বার্থের জন্য।অভিযুক্ত আসামিরা আরো বলেন,যে নারী আমাদের নামে মামলা দায়ের করেছেন,তিনি কোনদিন আমাদের দেখেও নাই।তাই আমরা মনে করি,এটি তার টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটি কৌশল মাত্র।
উল্লেখ্য,কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারী গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার একটি বাসা বাড়িতে ভাড়া থাকেন ওই নারী।শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ওই নারীর মোবাইল ফোনে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই সাউথইস্ট টেক্সটাইলের জিএম আলতাব হোসেন কল দিয়ে তাকে বোর্ডঘর এলাকায় আসতে বলেন। জানতে চাইলে তাকে বলা হয় বকেয়া বেতনের টাকা নিয়ে যেতে। পরে সেখানে গেলে আলতাব, শাহিনুর ও স্বাক্ষর জোর করে একটি হাইচ গাড়িতে উঠিয়ে নির্জন জায়গায় নিয়ে গাড়িতেই ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।পারে তারা ওই নারীকে একটি রিক্সায় উঠিয়ে দেয় বাসায় পৌঁছে দেয়ার জন্য।পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর শনিবার (৫ এপ্রিল) কালিয়াকৈর থানায় আলতাব, শাহিনুর ও স্বাক্ষর হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
প্রতিষ্ঠানটির অফিস সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত সাউথইস্ট টেক্সটাইল প্রাইভেট লিমিলেটে কয়েক মাস পূর্বে চাকুরি নেন ওই নারী।পরে নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে তার সমস্ত দেনা পাওনা পরিশোধ করে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।পরে তিনি হয়তো ক্ষোভে এমন কাজ করেছে।এখন তিনি লোক মারফতে আমাদের নিকট চাঁদা দাবি করছে।
অভিযোগকারী ওই নারীর স্বামী শামীম উসমান বলেন,আমার স্ত্রী লাজ লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।পরে আমরা তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছি।এখন তার অবস্থা অনেকটাই ভালো।আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
টেক্সটাইলের জিএম আলতাব হোসেন বলেন,এটি একটি চক্রান্ত।আমি এই চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই ঘটনার একটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোড় দাবি করছি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়াকৈর থানার এস আই শাহিন মিয়াকে মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও সে রিসিভ করে নি।