মির্জাপুরে চাঁদার টাকা না দেয়ায় কুপিয়ে জখম;২৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামি


মাসুদ পারভেজ :
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চাঁদার টাকা না দেয়ায় ব্যাবসায়ীকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখমের ঘটনা ঘটেছে।কিন্তু ঘটনার ২৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামি,রয়েছে পলাতক।আতঙ্কে রয়েছে চিকিৎসারত ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ীরা।
এমন ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গোড়াই মঈননগর এলাকায়।মার্চ মাসের ৫ তারিখে উক্ত এলাকায় আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় এই ঘটনাটি ঘটে।ভুক্তভোগী পরিবার বলছে ঘটনাটি একটি পূর্ব পরিকল্পিত,যা আমাদের হত্যা করার উদ্যেশ্যে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন হঠাৎ করে দেখি ঘটনাস্থলে মারামারি,একপর্যায়ে বটি দিয়ে তালেব ও রাসেলকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছ।ওদের ডাকচিতকারে আমরা এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত জুবায়েদ,পাখি,আকরাম,তোফাজ্জল সহ তাদের সহযোগিরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।পড়ে আমরা ভুক্তভোগীদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গোড়াই খামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইটভাটা মালিক মোস্তফা মিয়ার কাছে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় গত ৫ মার্চ না কেবিএম-৩ ইটভাটার একটি ট্রাক গোড়াই মইননগরের রাস্তায় আটক করে অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে ভাটা মালিক মোস্তফা মিয়ার ছেলে আবু তালেব,ভাতিজা রাসেল ও তার ভাই সেখানে আসলে চাঁদাবাজরা দা, লাঠি ও চাকু দিয়ে আবু তালেব,ভাতিজা রাসেলের ও তার ভাইকে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে দুইজনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে আবু তালেবের অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
এদিকে মামলার পর প্রধান তিন আসামী জুবায়ের, তোফাজ্জল ও আকরাম ছাড়া অন্য আসামিরা জামিনে এসে ভাটা মালিককে মামলা তুলে নিতে ও পুনরায় চাঁদা দাবি করে অনবরত হুমকি দিয়ে চলেছে বলে আহত আবু তালেব জানিয়েছেন।তিনি আরো বলেন,চাঁদাবাজরা চাঁদা দাবি করেই চলেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গোড়াই খামারপাড়ার মৃত তারিফ উদ্দিনের ছেলে মো. মোস্তফা মিয়া (৫৭) বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩-৪ জন অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন গোড়াই খামারপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেন পাখি,লোকমান,হানিফ সাধু,জুবায়েদ,তোফাজ্জল,আকরাম,জামান,শিশির,তারা মিয়া,আল ইমরান আকাশ সহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন।
অভিযুক্ত আসামি আকরাম হোসেন বলেন,মূলত ঝামেলা হয়েছে কেবিএম ইটভাটার শেয়ার নিয়ে।ওই ইটভাটায় আমাদের শেয়ার আছে।আমরা শেয়ারের ভাগ চাইলে মোস্তফা মিয়া জোড় করেই ভোগ দখল করবে বলে জানান।আমাদের যে শেয়ার আছে তার একটা লিখিত স্ট্যাম্প আছে আমাদের কাছে।
ভুক্তভোগী মোস্তফা,তালেব ও রাসেল মিয়া বলেন,আমরা ব্যাবসায়ী।আসামিরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের নিকট চাঁদা দাবি করে আসছে।আমরা দিতে অস্বীকার করায় ওরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর এই হামলা চালায়।আমাদের সাড়া শরীরে বটি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করার পর আমরা দীর্ঘদিন হাসপালে ভর্তি ছিলাম,এখনো চিকিৎসা নিচ্ছি।
অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন বলেন,দুই পক্ষ থানায় এসে অভিযোগ করেছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।