মির্জাপুরে আনারস মার্কার নির্বাচনী পথসভা জনসভায় পরিনত


স্টাফ রিপোর্টার :
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার প্রতিটি আনাচে কানাচে নেতাকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও সাড়া ফেলেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত।তিনি এই নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।তারই ধারাবাহিকতায় প্রচার প্রচারণার শেষ সময়ে আনারস মার্কার নির্বাচনী এক পথসভা জনসভায় পরিনত হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যা ৬ টার সময় উপজেলার গোড়াই সৈয়দপুর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন জনসভার দৃশ্য।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সহ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মীর মঈন হোসেন রাজীবের নেতৃত্বেই এমন জনসভার আয়োজন করা হয়।এসময় বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত (আনারস প্রতীক),ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আজহারুল ইসলাম (তালা প্রতীক),উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদ হোসেন শান্ত সহ প্রমূখ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভোটার,কর্মী,সমর্থক সহ উপজেলা,পৌর,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বাবা প্রয়াত আলহাজ্ব একাব্বর হোসেন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের টানা চারবারের সংসদ সদস্য।
সাধারণ ভোটাররা জানান, পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতা টানা চারবারের এমপি প্রয়াত আলহাজ্ব একাব্বর হোসেনের ছেলে তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে এ উপজেলায় সবার মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন সীমান্ত। বাবার রাজনৈতিক ও উন্নয়ন এবং নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ড এ নির্বাচনে তাঁর এমন শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত বলেন, মির্জাপুরবাসী আমার বাবা প্রয়াত একাব্বর হোসেনকে টানা চারবার ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছেন। আমার বাবা মির্জাপুরে বিভিন্ন স্তরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন।‘আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। সব জায়গায় বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমার ধ্যান-জ্ঞান সব সাধারণ জনগণকে নিয়ে।জনগণের ভালোবাসা আমার রক্তে মিশে আছে। মির্জাপুরবাসী আগামী ৫ জুন আনারস মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন বলে আশা প্রকাশ করি।
উল্লেখ্য,ভোট গ্রহণ ৫ জুন।এ উপজেলাটি ১ টি পৌরসভা ও ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮শত ৫১ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৩ হাজার ১শত ১৩জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭শত ৩২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৬ জন।